মেহেদির রঙ না শুকাতেই ফাতেমা খাতুন (১৭) নামে এক নববধূকে যৌতুকের বলি হতে হলো।
রোববার রাত ২টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়েছেন মর্মে গৃহবধূকে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বামী সোহানুর রহমান। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সময় গৃহবধূর স্বামী-শ্বশুরকে পুলিশ আটক করেছে।
আটককৃতারা হলেন— গৃহবধূর স্বামী সোহানুর রহমান ও শ্বশুর মিজানুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই মনিরামপুর পৌর এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহানুর রহমানের সঙ্গে অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন শেখের মেয়ে ফাতিমা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেন স্বামী সোহানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত গৃহবধূর বাবা ইয়াসিন শেখ জানান, জামাই সোহানের দাবিকৃত তিন লাখ টাকার মধ্যে ৩ দিন আগে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। পুরো টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
গৃহবধূর চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, তার মরদেহ হাসপাতালের বারান্দায় পড়েছিল। এ সময় ভাইজির নাক-মুখ দিয়ে ময়লা বের হচ্ছিল। তাকে কয়েকজন মিলে এলোপাতাড়ি মারপিটসহ বুক ও পেটের ওপর দাঁড়িয়ে দাবানো হয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফরিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও ফোলা দাগ রয়েছে।
থানার ওসি নূরই আলম সিদ্দিকী জানান, গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।